এই ক্রিকেট লিগ এখন শুধুমাত্র খেলার আসর নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা সুনিধি চৌহান। তাঁর জ্বালাময়ী কণ্ঠে একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশিত হয়, যার তালে গ্যালারিজুড়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী। তাঁর পারফরম্যান্সে ছিল চমক, গ্ল্যামার ও নিখুঁত মঞ্চ নিয়ন্ত্রণ, যা গোটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ভিন্ন মাত্রা দেয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশীষ গাঙ্গুলী, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী, মহিলা ক্রিকেটের গর্ব ঝুলন গোস্বামী। এ ছাড়াও ছিলেন সিএবি সহ-সভাপতি অমলেন্দু বিশ্বাস, সচিব নরেশ ওঝা, কোষাধ্যক্ষ প্রভীর চক্রবর্তী, যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস সহ সিএবি–র একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং লিগ গভর্নিং কমিটির সদস্যরা। সরকারি তরফে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অগ্নি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতা পুরসভার এমএমআইসি দেবাশিস কুমার। তাঁদের উপস্থিতি লিগের গুরুত্ব ও প্রভাবকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
উদ্বোধনের পরেই শুরু হয় সিজনের প্রথম ম্যাচ, যেখানে মুখোমুখি হয় সোবিস্কো স্ম্যাশার্স মালদা এবং মুর্শিদাবাদ কিংস। দু’দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফুটে ওঠে লিগের প্রতিযোগিতামূলক চরিত্র। মাঠে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তেমনি গ্যালারিতে উৎসাহ, সব মিলিয়ে জমজমাট একটি সন্ধ্যার সাক্ষী থাকল কলকাতার ক্রিকেটমহল।
বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের লক্ষ্য শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং রাজ্যের প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারদের মঞ্চ দেওয়া, যাতে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন। জেলার প্রতিনিধিত্ব করা আটটি দলের অংশগ্রহণে তৈরি হয়েছে এক স্নেহস্পর্শী এবং একই সঙ্গে পেশাদার প্রতিযোগিতার আবহ। লিগের দ্বিতীয় সংস্করণ ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে যে এটি কেবল এক মরসুমের খেলা নয়, বরং বাংলা ক্রিকেটের ভবিষ্যতের ভিত গড়ার এক নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
এই লিগের প্রতিটি মুহূর্ত এখন রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীদের নজর কেড়ে চলেছে, আর ইডেন গার্ডেন্সে সেই সন্ধ্যার প্রতিটি ছন্দ ছিল এক গৌরবোজ্জ্বল শুরু।