অভিমন্যু ও রাহুলের ব্যাটে রানের ঝড়, খলিলের দাপটে প্রতিপক্ষ কোণঠাসা
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ফের ব্যাটে জ্বলে উঠলেন লোকেশ রাহুল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো হাফসেঞ্চুরি করে দলের ইনিংসকে মজবুত ভিত্তি প্রদান করেন তিনি।
অন্যদিকে, অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনও দেখালেন নিজের দক্ষতা—একটি ঝকঝকে ইনিংসে তুলে নিলেন গুরুত্বপূর্ণ রান, যা দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরির সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৪৮ রান করেছিল ভারত এ দল। জবাবে ইংল্যান্ড লায়ন্সকে ৩২৭ রানে গুটিয়ে দেন অভিমন্যুরা। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে সুচারু টাইমিংয়ে সাজানো এক হাফসেঞ্চুরি, যেখানে রানগুলির মধ্যে ছিল স্ট্রোক প্লে-র সৌন্দর্য। অভিমন্যুও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ধৈর্য ও আগ্রাসনের সংমিশ্রণে বিপক্ষ বোলারদের চাপে ফেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ যশস্বী জয়সওয়াল। তবে লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরি (৫১) ভারত এ-দলের লিড বাড়াতে সাহায্য করে। দিনের প্রাপ্তি অবশ্যই ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণের পারফরম্যান্স। মাত্র ৯২ বলে ৮০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিমন্যু। ম্যাচের একদিন বাকি। ভারত এ দল ১৮৪ রানে এগিয়ে।
তবে শুধু ব্যাটেই নয়, বোলিংয়েও ভারতের ছাপ স্পষ্ট। খলিল আহমেদ বল হাতে তুলে নেন চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, প্রতিপক্ষের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন তিনি। তার সুইং এবং গতি সামলাতে হিমশিম খায় ব্যাটাররা। দুর্দান্ত বোলিং বাঁ হাতি পেসার খলিল আহমেদের। স্পেলের প্রথম দশ ওভারে উইকেটশূন্য ছিলেন খলিল। শেষ চার ওভারে চার উইকেট তাঁর ঝুলিতে। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয় ভারত এ দল।
এই পারফরম্যান্সে ফের একবার প্রমাণ হল, ভারতের বেঞ্চ স্ট্রেংথ যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আগামী দিনে তারা আরও চমক দেখাতে প্রস্তুত। দলের এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা আশাবাদী আগামি ম্যাচগুলিতেও এমনই রণকৌশল বজায় থাকবে।